মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার by সেলিম টি এস আল-হাসসানি
560.00৳ 800.00৳ (-30%)
অনুবাদক পরিচিতি
মিরাজ রহমান
গতানুগতিক ধারার বাইরে কাজ করা আত্মপ্রত্যয়ী একজন মানুষ—মিরাজ রহমান। মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে যখন কাজ শুরু করেছেন, তখন তিনি মাদানিনগর মাদরাসার শিক্ষার্থী। কন্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। কওমি শিক্ষাধারায় লেখাপড়া করার পাশাপাশি সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা থেকে দাখিল ও আলিম, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে অনার্স এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে তিনি এমফিল গবেষণায় নিরত আছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে ইন্টারনেট জগৎকে ইসলাম প্রচারের জন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনে মনোযোগী হন মিরাজ। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে।এরপর কাজ করেছেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবেও। টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন তিনি। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবি-রাসুল সিরিজ, তাবলিগ জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, আশিক মিন ফিলিস্তিন, হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতা, দ্য কিংস অব দ্য কিংডম অব সৌদি আরাবিয়া, প্রোডাক্টিভ মুসলিম ও মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার তার রচিত ও অনূদিত সাড়া জাগানো গ্রন্থ। তার পিতার নাম মো. মোসলেম আলী। মাতার নাম পারুল বেগম। বরিশাল তার জন্ম শহল হলেও পড়াশুনা এবং বেড়ে ওঠা ইট-পাথরের শহরে ঢাকায়। আট ভাইয়ের সংসারে মিরাজ সর্বকনিষ্ট। তার স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মুন্নি এবং মেয়ের নাম আমাতুর রহমান দোআ। বর্তমানে কাজ করছেন নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান অনলাইন ইসলামিক টিভি ইসলাম প্রতিদিন এবং প্রকাশনা সংস্থা সুলতানসের চেয়ারম্যান হিসেবে।
মো. আবুল বাশার
একজন সুপরিচিত, অভিজ্ঞ, দক্ষ্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ এবং পরামর্শক হিসেবে বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং উন্নয়ন খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাশার। বর্তমানে তিনি ইউএসএভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর। প্রতিষ্ঠানিক ও ব্যবসায়িক কৌশল-পরিকল্পনা, পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠানিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠানিক মান ব্যবস্থাপনা পদ্বতি ও সাংগঠনিক উন্নয়নসহ প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনায় তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। শিক্ষাকে সর্বাধিক মূল্য দেন তিনি এবং সে কারণেই প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জনের পরেও মাস্টার অব আর্টস, মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মাস্টার অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজসহ বিভিন্ন ডিগ্রী অর্জন করেছেন। সম্প্রতি তিনি আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষ ডিগ্রী লাভ করেছেন। দেশের গন্ডি পেরিয়ে একজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে ফিলিপাইন্স, থাইল্যান্ড, হংকং, নেপাল, কম্বোডিয়া, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সাউথ কোরিয়া, শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ায় সরাসরি কাজ করাসহ বিশ্বেরর বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন মো. আবুল বাশার।
ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য চার্চার সঙ্গে জড়িত তিনি। পেশাগত জীবনে এসেও বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত গল্প, কবিতা ও ভ্রমণবিষয়ক রচনা লেখার পাশাপাশি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কলাম লেখা অব্যাহত রেখেছেন।
আবিষ্কার ও উন্নয়নের নেপথ্যে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের শেকড়সন্ধানী ইতিহাস জানতে হাতে তুলে নিন ‘মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার’ গ্রন্থটি। গোটা বিশ্বের ইতিহাস থেকে মুসলিম সভ্যতার অবদানমুখর অধ্যায়কে মুছে ফেলে এবং সকল প্রকারের শিক্ষা পাঠ্যক্রম থেকে এ আলোচনাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানমূখর যে সময়টিকে ‘ডার্ক এইজ’ বা ‘অন্ধকার যুগ’ হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে, এ গ্রন্থে মূলত সে সময়টি ‘গোল্ডেন এইজ’ বা ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবে প্রমাণ করা হয়েছে।
সাদা কাগজের কিছু পৃষ্ঠার ওপর কালো কালিতে খচিত নিছক কোনো গ্রন্থ নয় এটি। মুসলিম সভ্যতার মহানায়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের গৌরবগাথা আবিষ্কার-অবদানের শেকড়সন্ধানী ইতিহাস সমৃদ্ধ এক প্রামাণ্যগ্রন্থ— মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিস্কার।
প্রফেসর সেলিম টি এস আল-হাসসানি রচিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক থেকে প্রকাশিত 1001 Inventions : The Enduring Legacy of Muslim Civilization নামের বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ— মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিস্কার। এটি কেবল একটি বই নয়— এক আকাশ ইতিহাসের শেকড়সন্ধানী ইতিহাস সংকলন। হাজার বছরের ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা মুসলিম সভ্যতার মহানায়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনাগুলো আবৃত হয়েছে দুমলাটের ভেতরকার জমিনে। গোটা বিশ্বের ইতিহাস থেকে মুসলিম সভ্যতার অবদানমুখর অধ্যায়কে মুছে ফেলে এবং সকল শিক্ষা পাঠ্যক্রম থেকে এ আলোচনাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে— যে সময়টিকে ডার্ক এইজ বা অন্ধকার যুগ হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে; এ গ্রন্থে মূলত সে সময়টিকে গোল্ডেন এইজ বা স্বর্ণযুগ প্রমাণ করার প্রয়াস চলানো হয়েছে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং আবিস্কার-উন্নয়নের নেপথ্যে মুসলিমদের কৃতিত্ব ও অবদানমূলক গৌরবগাথাগুলো একত্রিত করা হয়েছে এ গ্রন্থের পাতায় পাতায়।
সাদা কাগজের কিছু পৃষ্ঠার ওপর কালো কালিতে খচিত নিছক কোনো গ্রন্থ নয় এটি। মুসলিম সভ্যতার মহানায়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের গৌরবগাথা আবিস্কার-অবদানের ইতিহাস সমৃদ্ধ শেকড়সন্ধানী এক প্রামাণ্যগ্রন্থ— মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিস্কার।
৩৭৬ পৃষ্ঠার বৃহৎ কলেবরের একটি বই। মোট ৮ অধ্যায়ে বিন্যস্ত এ গ্রন্থে এক শতাধিক বিষয়ভিত্তিক শিরোনামে তুলে ধরা হয়েছে অসংখ্য-অগণিত আবিস্কার ও উন্নয়নের গল্প। গ্রন্থটির প্রতিটি লাইনে লাইনে উঠে এসেছে আবিস্কার-অবদানের চেপে রাখা ইতিহাসের ইতিহাস। এছাড়া মুসলিম সভ্যতার উন্নয়নের সময়কাল ও মুসলিম সভ্যতার প্রধান প্রধান অবদানের মানচিত্র শিরোনামের ২টি ব্যতিক্রমধর্মী টাইমলাইনের যুক্ত করার পাশাপাশি সাড়ে ৯ ইঞ্চি বাই সাড়ে ৬ ইঞ্চি সাইজের বইটি যুক্ত করা হয়েছে দূর্লভ ও বিরল হিস্ট্রিক্যাল বিভিন্ন ছবি ও প্রাচীন পাণ্ডুলিপির রেফারেন্স।
বর্তমানে বিশ্বে মুসলমানিত্বের অস্তিত্বের গৌরবোজ্জল ঐতিহাসিক পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকতে, পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসগ্রন্থের পর এ গ্রন্থটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হওয়ার দাবি রাখে। কারণ এ গ্রন্থের প্রতিটি লাইন সমৃদ্ধ হয়েছে মুসলিমদের অবদানের গৌরবগাথায়। বংশগত ঐতিহ্য রক্ষার্থে প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবার যেমনিভাবে বংশলতিকা সংরক্ষণ করে; মুসলিম সভ্যতার হাজার বছরের অবদানমুখর গৌরবগাথা ইতিহাস নিজেরা জানতে এবং অন্যকে জানাতে তেমনিভাবে এ গ্রন্থটিও প্রত্যেক মুসলিম পরিবারে সংরক্ষিত হওয়া উচিত।
Additional information
Weight | .5 kg |
---|
by logan
I love it